1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

ধূসর হয়ে উঠছে সিলেট নগরী

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২
  • ৩০৭ বার পঠিত

আফতাব চৌধুরী : ক্রমশ ধূসর হয়ে উঠছে আধ্যাত্মিক রাজধানী নামে খ্যাত সিলেট নগরী। আশঙ্কাজনক হারে কমছে জলাশয়। সবুজ বন আর বৃক্ষ নিধন, পাহাড় কর্তন চলছে নির্বিচারে। মাটি, পানি আর ঘাস ঢেকে যাচ্ছে ইটের আবরণে। তৈরি হচ্ছে আবাসন প্রকল্প। শুষ্ক মৌসুমে ধূলা আর দূষণ, বর্ষায় জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে অতীষ্ঠ হয়ে উঠছে নগরজীবন। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে শহরের চারপাশে কৃষি উৎপাদন কমে যাচ্ছে। দূরবর্তী এলাকা থেকে খাদ্য এনে নগরবাসীর চাহিদা মেটানো হচ্ছে। এতে শহরমুখী পরিবহনের সংখ্যা বাড়ছে, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
নিম্নভূমি ও জলাভূমি ভরাট করে একের পর এক কংক্রিটের ভবন ও পিচঢালা পথ নির্মাণের ফলে শহরে তাপমাত্রাও বাড়ছে। বছরের মার্চ, এপ্রিল দুই মাসে সিলেটে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে, গড় তাপমাত্রা বেড়েছে। মৌসুমি বায়ু আসার আগের এই সময়ে যে বৃষ্টিপাত হয়, তার উৎস হচ্ছে স্থানীয় নদী ও জলাশয় থেকে সৃষ্ট জলীয় বাষ্প। জলাশয় কমে যাওয়ায় বৃষ্টিপাতও কমেছে। প্রতিবছর মার্চ,এপ্রিল,মে এই তিন মাসে .০৬৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি শীত মৌসুমে .০৬১ ডিগ্রি এবং জুন, জুলাই মাসের বর্ষায় বেড়েছে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। অবশ্য এবারের বৃষ্টি ও বন্যা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
সিলেট মহানগরীর ২৬.০৫ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা আর জলাশয়ের পরিমাণ খুবই কম। এক যুগ আগেও শহরে সবুজ এলাকা ছিল বিস্তর আর জলাভূমি ছিল অনেক বেশি। নগরায়ণ ও উন্নয়নের নামে এসব স্থান ধূসর এলাকায় পরিণত হয়েছে।
একটি বেসরকারী সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, জলাভূমি ভরাট হয়ে শহর থেকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা বাড়ছে। পানি নিষ্কাশন এলাকা হিসাবে চিহ্নিত ছিল বিভিন্ন ছড়া জলাশয় আর সুরমা নদীর তীবরর্তী এলাকা। গত এক যুগে এসব নি¤œাঞ্চালের ৮০ শতাংশই ভরাট হয়ে গেছে। পাশাপাশি শহরের আশপাশ থেকে কৃষিজমি ও জলাভূমি ক্রমশ ধ্বংস হওয়ায় পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে। ফলে খাদ্যশস্য ও মৎস্য সম্পদের উৎপাদন কমছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নগরগুলোর পরিবেশ ও খাদ্যনিরাপত্তার প্রস্তুতি জানতে জাতিসংঘের পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক সংস্থা ইউএনইপি, ডবিøউএমও ও আইপিসিসি এ ধরনের সমীক্ষা পরিচালনা করছে।
দেখা গেছে, নগরীর বেশীর ভাগ এলাকাই বর্তমানে প্রায় বৃক্ষশূন্য। কয়েক বছর আগেও এ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিল ঘন বৃক্ষ ও বন বনানী। এখন সেখানে গাছ কেটে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন। সড়ক সংকুচিত করে গড়ে তোলা এসব ভবনের পাশে নেই পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। সা¤প্রতিক সময়ে মীরের ময়দান, শেখঘাট, শাহজালাল উপশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নের নামে কেটে ফেলা হয়েছে কয়েক হাজার বৃক্ষ।
সিলেটে গত ১ বছরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বেশ ক’টি, যেগুলোর কোন কোনটির মাত্রা ৪ বা এর কিছু বেশিও ছিল। এই ভূমিকম্পগুলোর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের ভেতরেই ছিল। নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, দূর্বল বিল্ডিংই ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির মূল কারণ। ভবনকে ভূমিকম্পের প্রতিরোধ করে ডিজাইন ও নির্মাণ করার মূল চালিকা হচ্ছে বিল্ডিং কোড। বিল্ডিং কোডের মধ্যে প্রকৌশলীদের জন্য নির্দেশনা আছে কীভাবে ভূমিকম্প-প্রতিরোধক বিল্ডিং ডিজাইন করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে যেসব বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে, এর বেশিরভাগই নন-ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে করা হয়। আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ারদের কোনো সম্পৃক্ততাই থাকে না ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে। যদি বিল্ডিং কোড সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যেত,তবে এ সমস্যাটিকে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা যেত। সিলেট শহরে বেশ কিছু উচু ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, যেগুলোতে রড ব্যবহার করা হয়নি, ইট-সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে। আরেক ধরনের ভবন, যেসব ভবনের নিচতলা খালি থাকে, এ ধরনের কয়েক শত ভবন শহরে ভূমিকম্পের ঝুঁকি মধ্যেই আছে। সিলেটে যদি ৭ মাত্রা বা তার বেশী ক্ষমতার ভূমিকম্প হয়, শত শত ভবন সহজে ভেঙে যাবে। প্রাণ হারাবে বহু মানুষ। বিশেষজ্ঞদের এটাই ধারণা ।
এ প্রসঙ্গে মেটালারজিক্যাল প্রকৌশলী জনাব হান্নান বলেন, বাংলাদেশে হাতে গোনা কয়েকটি ইস্পাত তৈরি কারখানায় ফার্নেসের মাধ্যমে ধাতু গলিয়ে সেখান থেকে স্যাম্পল পরীক্ষা করে মান নিয়ন্ত্রণ করে ইস্পাত তৈরি করলেও অধিকাংশ শিল্প-কারখানায় জাহাজ ভাঙা স্ক্র্যাপ চুল্লিতে গরম করে রোলিং মিলে রোল্ড করে বাজারজাত করা হচ্ছে। অথচ উঁচু দালান, ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণে ইস্পাতের মান সঠিক না থাকলে কোন স্থাপনাই দীর্ঘস্থায়ী হয়না। এ কারণেই বিভিন্ন স্থানে নির্মিত স্থাপনা বছর না যেতেই ধ্বসে পড়ছে, ঘটছে প্রাণহানি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক শফিকুল আজাদ বলেন, আমরা সিলেটে উচ্চ জন্মহার এবং নিম্ন শিক্ষাহার দেখতে পাই। এ থেকে প্রমাণ হয় যে, টাকাই সব সমস্যার সমাধান- এই চলতি বিশ্বাস ভূল। এসব অঞ্চলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে, যাতে সামগ্রিকভাবে জন্মহার আরও কমে আসে। তিনি বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের দেশের অর্ধেক এলাকা শহরে পরিণত হবে। কৃষি, জলা ও বনভূমিকে অক্ষত রেখে নগরায়ণ করতে হবে। নগরের বিকাশ দ্রæত প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে। তাই, বি-নগরায়ণের বদলে আমাদের পরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নয়, যে কোন উৎসব আনন্দে শুভেচ্ছা জানানোর নাম করে বিলবোর্ড-পোস্টারে নিজেদের দাঁতের হাসি প্রকাশ করে আসছেন জননেতারা। মাস ছাড়িয়ে বছর পেরিয়ে যায়, এসব নেতারা শুভেচ্ছা জানিয়েই যান। রেহাই পায় না মানুষ, রেহাই পায় না পরিবেশও। বিশাল বৃক্ষ রেইন ট্রি। এই বৃক্ষ একটু আলাদা। বটবৃক্ষ দেখলে সহজে চেনা যায়। কিন্তু রেইন ট্রি নজরে আসার পর প্রথমে বট বলে মনে হতে পারে। চৈত্রের ভরদুপুরে বিশাল এই গাছের সুশীতল ছায়ায় বসে অল্প সময় বিশ্রাম নেয়ার পর উপরে তাকালে বোঝা যায় এটি বটবৃক্ষ নয়, এটি রেইন ট্রি। তবে বট-পাকুড়ের মতো চারদিকে অনেক উঁচুতে শাখা-প্রশাকার বিস্তার রোদকে ঢেকে ছায়া দেয়। নগরীর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার এক সময়ের সুবিশাল উচ্চ এই গাছগুলোর অধিকাংশই মরে গেছে বা কেটে ফেলা হয়েছে।
দেখা গেছে, শহরের অনেক এলাকাতেই গাছে গাছে পেরেক ঠুকে লাগানো হয়েছে হরেক রকমের বিজ্ঞাপন। গাছে পেরেক ঠুকে সাইনবোর্ড লাগানো দন্ডনীয় অপরাধ হলেও এ আইনের প্রয়োগ নেই। গাছে পেরেক ঠুকে সাইনবোর্ড না লাগানোর বিষয়ে ২০০২ সালের ৭ জুলাই জাতীয় সংসদে একটি আইন পাস হয়। কিন্তু আইনটি কার্যকর হয়নি। ফলে শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশাপাশি গ্রামীণ সড়কের প্রায় সব গাছই এখন বিজ্ঞাপনদাতাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। ওসমানী বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে শহরে প্রবেশের সময় রাস্তার দুপাশের সৌন্দর্য্য আকৃষ্ট করত পর্যটকদের। এছাড়া শহরে কিছু পানির ফোয়ারা ছিল বিভিন্ন পয়েন্টে তার বেশির ভাগই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে।
এদিকে বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষের শরীরের জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বায়ু গণমান সূচক ৫০ বা তার নিচে থাকলে তা স্বাস্থ্যসম্মত পর্যায়ে থাকে। কিন্তু এটি ৩০১ থেকে ৫০০ তে পৌছালে তা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়। এই মাত্রায় ঘরের বাইরে কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। কয়লার ময়লা, বর্জ্য-আবর্জনা ও গাড়ির ধোঁয়া শহরের বায়ু দূষণের প্রধান উৎস। শিল্পায়নের কারণে শহরের বায়ু ব্যাপকভাবে দূষিত হচ্ছে।
একটি বেসরকারী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. নিয়াজী বলেন ‘মানুষ বেড়েই চলেছে। এখন জলবায়ুর পরিবর্তন নতুন হুমকি হিসেবে এসেছে। এই নগরের খাদ্য, আবাসন ও জ্বালানি নিরপাত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। শহরের পাশে যে উপশহর গড়ে উঠছে, গত চার বছরে এসব এলাকায় কৃষিজমির পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে।
পরিবেশবিদ অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিশ্বের বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেনসহ বিভিন্ন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। কারণ, শিল্পায়ন হচ্ছে, মানুষ বাড়ছে বসত বাড়ি তৈরি হচ্ছে আর তাই বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা, বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ, ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তণ ইত্যাদি। আমি বাংলাদেশের জন্য যে স্বপ্ন দেখি, তাহলো দেশটা এ রকম হবে আমাদের আশা, এই দেশের প্রতিটি মানুষের সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে, ক্ষুধার তাড়নায় কেউ পীড়িত নেই, সবার জন্য নিরাপদ বাসস্থান আছে, শিক্ষাব্যবস্থা সূচারুরূপে গড়ে উঠেছে, সম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই তার প্রাপ্য অংশটুকু বুঝে নিতে পারছে এবং দেশে আর অতি দরিদ্র কেউ নেই, যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত ও নিরাপদ হয়েছে, পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নিতে পারছি, টলটলে পানিতে জলজ উদ্ভিদ এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ জলাধারগুলোকে যেভাবে দেখতে চাই, ঠিক তা-ই আছে, নদীগুলো নৌবিহারের জন্য উপযুক্ত, এ রকম আরও অনেক কিছু। কিন্তু আমরা অত্যন্ত আতঙ্কে আছি, এগুলোর অর্জন নাও হতে পারে, বরং অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক দূরে আমাদের অবস্থান হবে। কারণটি হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তন হওয়া ও আবহাওয়া বিপর্যয় আসা।
মাছের আড়তগুলোতে দেখা গেছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মাছের চাহিদাও আগের তুলনায় কমপক্ষে দশগুণ বেড়েছে। এ বর্ধিত মাছের চাহিদা পূরণে প্রাকৃতিক উৎসের মাছ দিন দিন কমতে থাকায় সহায়ক হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খামারে উৎপাদিত মাছ। বর্তমানে মাছের সিংহ ভাগ চাহিদাই পূরণ করছে খামারে উৎপাদিত মাছ। এছাড়া প্রতিবেশি দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত মাছও নগরবাসীর এ চাহিদার খানিকটা পূরণ করছে।
সিলেট শহরের স্থায়ী বাসিন্দা সত্তরোর্ধ বেশ ক’জন প্রবীণ ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের ছেলেবেলায় বনভূমি এবং যৌবনে দেখা শহর গত ৩০ বছরে সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। পাহাড় এখন বৃক্ষশূন্য, বন্য প্রাণি ও পাখিরা উধাও, প্রাকৃতিক বনের বদলে পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে। গ্রামীণ নির্জনতা ভেঙ্গে চলছে যান্ত্রিক যানবাহন। সর্বত্র দোকানপাট। পথে-ঘাটে লোকের ভিড়, সবই কর্মব্যস্ত এবং এটাও স্বীকার্য, কৈশোরকালের জনদারিদ্র্য অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। বিলাঞ্চলে এখন কমে গেছে, বোরো চাষও ও মাছের রমরমা ব্যবসা। হিজল বনগুলো আর নেই, মাছ কমে গেছে, কয়েকটা প্রজাতিও বিলুপ্ত। পরিযায়ী হাঁসেরা মোটেও নির্বিঘœ নয়। আর সেই নৈঃশব্দ? তা-ও হারিয়ে গেছে। আমরা চাইলেও তা আর ফেরত পাব না। যদি আমরা এখন হতেই সতর্ক না হই তাহলে আর ক’বছর পরে এ শহর সিলেট বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে এমন ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সাংবাদিক-কলামিস্ট।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..